This content was developed for Bangladeshi Nationals.
মাসিক একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়, কিন্তু এ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করার চর্চা আমাদের মধ্যে নেই। মাসিক নিয়ে সামাজিক বিধিনিষেধ নারী স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। সঠিক তথ্যের ঘাটতি এবং কুসংস্কারের কারণে মাসিক নিয়ে আলোচনায় দ্বিধা কাজ করে যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
আগামী ২৮ মে আন্তর্জাতিক মাসিক স্বাস্থ্য দিবসকে সামনে ২০ মে,২০১৭ শনিবার এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া সেমিনার হলে এই আয়োজনটি করা হয়। সরকার, এনজিও এবং বেসরকারি অংশীদারদের নিয়ে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি আলোচনা করা হয়।
বৈঠকটির শিরোনাম দেওয়া হয়: “ঋতুকালীন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বাধা ও এর ভবিষ্যৎ: সরকারি-বেসরকারি-ব্যক্তি মালিকানাধীন খাতের ভূমিকা”।
বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করেছেন ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেকটর ডঃ খায়রুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রধান ডঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, “নারী স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চলছে। পরিবার ও কর্মক্ষেত্রই শুধু নয়, সকল পরিসরে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে মাসিক নিয়ে বিধিনিষেধের বিলোপ করতে হবে।”
বাংলাদেশ প্রতিদিনের যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের বলেন, “মাসিক স্বাস্থ্য দিবস সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাই এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা জরুরি।”
রেড অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের কমিউনিকেশন অ্যাডভাইজার ইরিন বার্টেডলস তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “মাসিক একটি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক বিষয়। সব নারীর জীবনের একটা সময়ে মাসিক হয়। তাহলে এ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করার কী আছে! এত কোলাহলেরই বা কী আছে! কী কারণে আজ এতগুলো মানুষ একত্র হয়েছেন এখানে! এ জন্য যে মাসিক নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ও কুসংস্কার সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক নারীই কথা বলতে পারেন না। এ সকল ভুল ধারণা পরিবর্তনে এই নীরবতা ভাঙ্গার বিকল্প নেই।”
ঋতু প্রোগাম ম্যানেজার মাহবুবা হক কুমকুম পরিবেশবান্ধব প্যাড উৎপাদন ও এর ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে বলেন, “পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ঋতু প্রকল্পের অংশীদার নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক সংগঠন টিএনও পরিবেশবান্ধব স্যানিটারি প্যাডের টেকনোলজি উদ্ভাবন করেছে। এ প্রকল্পটি বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। বাংলাদেশে এই পরিবেশবান্ধব (বায়োডিগ্রেডেবল) স্যানিটারি প্যাড প্রডাকশন করবে সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি)। আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এটি বাজারে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। শুধু পরিবেশের কথা নয়, একই সঙ্গে মেয়েদের ক্রয়ক্ষমতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে যেন এই প্যাডের মূল্য নির্ধারণ করা যায় সে বিষয়ে এসএমসির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। এতে প্রতিটি নারী সচেতনতা অবলম্বনে সমর্থ হবে।”
অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরএইচএসটিইপি এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কাজী সুরাইয়া সুলতানা, ওয়াশ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অরডিনেটর আলোক মজুমদার, ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন ফর দ্য আরবার পুওর এর হাইজিন স্পেশালিস্ট আকলিমা খাতুন, নারী প্রগতি সংঘের ডেপুটি ডিরেক্টর শাহনাজ সুমি, এবং বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সায়েদা বিলকিস বাণী।
Read more: https://www.bd-pratidin.com/goal-table/2017/05/28/235446
Leave a Reply