This content was developed for Bangladeshi Nationals.
বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন নিশ্চিত করার লক্ষে ২০১২ সালে ন্যাশনাল হাইজিন প্রমোশন স্ট্রাটেজি প্রণীত হয়। ন্যাশনাল হাইজিন বেইজলাইন সার্ভেতে উঠে আসে বাংলাদেশের স্কুল, গৃহস্থালি, রেস্তোরা ও হাসপাতালগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার চিত্র। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেইজলাইন সার্ভে ২০১৫-এর জরিপে মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, প্রসূতি সেবা, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ইত্যাদিকেও বিবেচনার আওতায় আনা হয়।
বাংলাদেশের পাঁচটি জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় এনে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস সময়কালে এই জরিপ চালানো হয়। এতে স্কুল, গৃহস্থালি, রেস্তোরা, হাসপাতাল, প্রসূতি সেবাদানকারী বা ধাত্রীদের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।
জরিপে দেখা যায়, মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। মাসিককালীন সময়ে যে সকল কিশোরী ও নারীরা কাপড় ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া মেয়ে তাদের মাসিকের কাপড় ঠিকভাবে ধুতে ও শুকাতে পারে। স্কুলগামী মেয়েদের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগই জানায়, তারা যথাযথ মাসিক ব্যবস্থাপনার অভাবে ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে স্কুলে যেতে পারে না।
এই জরিপে আরও দেখা যায়, হাসপাতালগুলোতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত হলেও পানীয় জলের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়, বিশুদ্ধ পানি খুব কম হাসপাতালেই রয়েছে। ধাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই স্বল্পশিক্ষিত ও ধাত্রীবিদ্যায় কোন প্রশিক্ষণ নেই। এমনকি তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অন্য পেশা রয়েছে, সার্বক্ষণিকভাবে প্রসূতি সেবা দেওয়া তাদের মূল পেশা নয়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেইজলাইন সার্ভে ২০১৫ – এর পুরো গবেষণা পত্রটি এই লিংকে পাওয়া যাবে:
Research-Brief-Bangladesh-National-Hygiene-Baseline-Survey-Feb-2015
Leave a Reply